রাত দুটো, চারদিকে পিনপতন নীরবতা, এর মধ্যেই ডং ডং করে দেয়াল ঘড়িটা বেজে উঠলো, খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু ওই রাতে বেল বাজার শব্দটাও ভয়ঙ্কর ভাবে শুনা যাচ্ছিলো, আচমকা ভয় পেয়ে গেল নাসিম
নাসিম এর হাত পা কাঁপছে, কি দেখল সে, কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে? চাচা শ্বশুর তার নিজ হাতে নিজের ছেলে শফিককে কে খুন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে, এক হাতে রক্তাত্ত ছুড়ি আরেক হাত মাথায়, লাল রক্তে ভেসে গেছে ফ্লোর। অনামিকা কাদছে আর বলছে চাচা আপনি কি করলেন? আরিফ সাহেব এর মুখ থেকে কোন কথা বেরচ্ছেনা, শুধু মদ্যপ অবস্থায় বলছে “ কি করে ফেললাম আমি “, নাসিম আর অনামিকা বোঝায় চাচা আপনার দোষ নাই, আপনার ছেলে শফিক অনামিকাকে নষ্ট করতে চেয়েছিল, অনামিকা ঘুমে ছিল, আর আমি বারান্দায় ছিলাম, আমি এসে দেখি আপনি আর শফিক ধস্তাধস্তি করছেন, আর এর পরেই দেখি শফিক বুকে হাত দিয়ে নিচে পড়ে যায় আর আপনিও মদ্যপ অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে যান, আপনার কি কিছুই মনে পড়ছে না চাচা? অনামিকা আর নাসিম কি করবে বুঝতে পারছে না, লাশ কি গুম করবে নাকি পুলিসে খবর দেবে, নাসিম বলে পুলিসে খবর দিলে চাচাকে ধরে নিয়ে যাবে, এর চেয়ে ভাল আমরা লাশ গুম করে ফেলি, কিন্তু অনামিকা নিজেকে বোঝায় এই সব করলে আমরা লাশ গুম করার অপরাধে অপরাধী হয়ে যাব, অনামিকা নিজেকে সামলে পুলিসকে খবর দেবার ব্যবস্থা করে, অনামিকা চাচাকে বলে “চাচা আমি আপনাকে কতবার বলেছি, মদ্য পান করবেন না, আপনি শুনেন নাই, সাথে আপনার ছেলেটাকেও নেশাগ্রস্থ বানিয়েছেন“ আরিফ সাহেব এর মুখ থেকে কোন কথা বের হয় না, এদিকে বাড়ির দারোয়ান চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুঁটে আসে, দারোয়ান বিল্লাল ভয়ে অস্থির। সকাল বেলায় পুলিস এসে শফিকের লাশ নিয়ে যায় পোস্ট মরটেম এর জন্য, আর চাচাকে নিয়ে যায় থানায়। সেই সাথে সন্দেহজনক আচরণের জন্য দারোয়ান বিল্লালকেও পুলিস ধরে নিয়ে যায়।
চলবে ۔۔۔۔۔
মোহাম্মদ সোহেল রানা