ছোটবেলায় ভাবতাম রোজা রেখে ইফতারে রুহ্ আফজা না খেলে রোজা হবে না। ছোটবেলায় থেকেই দেখে এসেছি বাসায় ইফতারে রুহ্ আফজার শরবত থাকা চাই। আমাদের মতো এদেশের লক্ষ কোটি রোজাদারদের ইফতারে পছন্দের শরবত এই রুহ্ আফজা।
দুঃখের বিষয় হলো , অতি মুনাফালোভী এই কোম্পানিটি রোজাদারদের পছন্দটাকে জিম্মি করে এর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে।গতবছর যেটার দাম ছিলো ৩৬০ টাকা এবছর তা একলাফে ১৯০ বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা করে দিলো অথচ এর কোন যুক্তিসংগত কারন নেই। আমি আমার ব্যক্তগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর আমার বাসায় রুহ্ আফজা কিনবো না, এটা আমার অবস্থান থেকে অসাধু ও জুলুমবাজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আপনি কি করবেন সেটা আপনার একান্ত নিজস্ব ব্যপার । ছোটাবেলার ভুল ভেঙ্গে গেছে , ইফতারে রুহ্ আফজার শরবত খেতেই হব এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই, তাছাড়া আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে রুহ্ আফজায় চিনি,রং ও কেমিক্যাল ছাড়া এরমধ্যে কোন ফলের অস্থিত্ব নেই। সারাদিন রোজা রাখার পর তা পান করলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও বটে। সবসময় অসাধু ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে আমাদের জিম্মি করে রাখে। তাইতো এখন ভোক্তাদেরও সিন্ডিকেট করে ঐসব অসাধু ব্যবসায়ীদের পন্য বয়কট করা সময়ের দাবি।
আহমেদ রাসেল