প্লাস্টিক আমাদের নদীগুলোকে শ্বাসরোধ করছে।
দেশে প্রায় ৪৪ দশক ধরে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রথমদিকে এর ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়তা পেলেও ধীরে ধীরে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যের ভয়াবহ ও ক্ষতিকর প্রভাব জানা যায়। বাংলাদেশ ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছিল, যা ২০০৬ সাল পর্যন্ত কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের ৮৭ শতাংশই পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ফেলা হয় না। এই বর্জ্য পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবের কারণে প্লাস্টিক আইটেমগুলির ব্যবহার ফসলের জমি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং জলের সাথে অন্যান্য স্থানকে দূষিত করে, পরবর্তীকালে পরিবেশের ক্ষতি করে।
আমাদের নিত্য ব্যবহার্য প্রায় সব পণ্যেই পলিথিন ও প্লাস্টিকের মোড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি সস্তা হওয়ায় দরিদ্র লোকেরা সহজেই ঘরের বেড়া এবং ধানক্ষেতে পলিথিন ব্যবহার করে। এছাড়া পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতল এবং পণ্য বহন ও প্যাকেজিং এর জন্য কন্টেইনার পানিরোধী হওয়ায় এর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব ব্যবহারের ফলে পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে রাস্তা, নদী, খাল ও ফসলের মাঠে।
বাংলাদেশে ছোট-বড় নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০। এই নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণায় উঠে এসেছে প্লাস্টিক, পলিথিন ও আবর্জনার কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে এবং নদীর গভীরতাও কমছে।