খোশ আমদেদ মাহে রমজান

0
224

পবিত্র মাহে রমজান আমাদের অতি সন্নিকটে। আর অল্প কিছুদিন পরেই রমজান। রহমত, বরকত আর নাজাতের বার্তা নিয়ে শুরু হবে যেই মাস। রমজানের আগমনে প্রতিটি মুসলিম হৃদয়ই আনন্দিত হয়। প্রতিটি মুসলিম পরিবার এবং সমাজে আনন্দের জোয়ার বইতে থাকে। কারণ এই মাসসমূহ কল্যাণ আর পুণ্যের মাস। রমজানুল মোবারক সব মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। সারা বছর এই মাসের প্রতীক্ষায় মুমিনের হৃদয় অধীর আগ্রহী হয়ে থাকে।

রমজান মাস এমন একটি বরকতপূর্ণ মাস, যে মাসের মর্যাদা অন্যান্য মাসের থেকে অনেক বেশি। এ মাসে বান্দার জন্য রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়। রমজানের প্রথম রাত যখন আগমন করে, তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। আর জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু কী তাই? এ মাসে বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তানকেও শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।

রমজান মাসে একজন রোজাদার ব্যক্তি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কতটুকু প্রিয় তা নিম্নের এই ঘটনা বর্ননা থেকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি ।

একবার হজরত মুসা (আ:) মহান আল্লাহ্

সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা’কে

জিজ্ঞেস করেছিলেন: ও আল্লাহ্!

আপনি একমাত্র আমাকে আপনার সাথে

সরাসরি কথা বলার সন্মান ও বিশেষ

সুযোগ দিয়েছিলেন… আপনি কি এরকম

বিশেষ সুযোগ অন্য কাউকে দিয়েছেন?

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা

উত্তরে বলেন, “হে মুসা,

পরবর্তীকালে আমি উম্মত পাঠাব, যারা

মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মত হবে… যাঁরা শুস্ক

ঠোঁট ও জিহবা, শীর্ণ দেহধারী যার

চক্ষু কোটরাগত থাকবে, শুকনো

লিভার এবং পেটের মধ্যে তীব্র ক্ষুধার

যন্ত্রণায় থাকবে- তাঁরা দোয়ার মধ্যে

আমাকে ডাকবে এবং তাঁরা তোমার

চেয়েও আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী

হবে, হে মুসা… যখন তুমি আমার সাথে

কথা বল, তখন তোমার আর আমার মাঝে

৭০,০০০ সুক্ষ পর্দা থাকে কিন্তু

ইফতারের সময় মুহম্মদ (সা:) এর রোজাদার উম্মতদের

এবং আমার মধ্যে একটিও পর্দা

থাকবেনা, হে মুসা! আমি নিজে স্বয়ং

এই দায়িত্ব নিচ্ছি যে ইফতারের সময়

আমি কখনোই একজন রোজাদারের

দোয়া অস্বীকার করবো না!!!

” সুবহানাল্লাহ”

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে রোজা পালন করার তাওফিক দান করুন। রোজা ফজিলত ও মর্যাদা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

( সানজিদা আফরিন )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here