মাথায় আঘাত পাওয়ার পর বেহুস হয়ে যায় ফারিহা, এরপর কি হয়েছে সে কিছুই জানে না, তারপর জ্ঞান ফিরে আসার পর আহত অবস্থায় উঠে বসে, ফারহানকে সে কোথাও খুজে পায় না, উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে অনেক নিচে সে পড়েছে, আর একটু অন্ধকার গলির মতো একটি পাহাড়ের চিপাতে সে আটকে আছে… কিন্তু ফারহান কোথায়? ফারহান ফারিয়াকে বলে ছিল, কোন অবস্থায় ফারিয়াকে সে একা ফেলে যাবে না, ফারিয়া খুজতে থাকে ফারহানকে, এক সময় পাহাড়ের গাছের শিকড় বেয়ে অনেক কষ্টে উপরে উঠে, তবে এত রাতে কিছুই সে ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছে না, একসময় ক্লান্ত হয়ে সে মাটিতে পড়ে যায়, তার আর কিছু করার মতো শক্তি নাই, শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, এক সময় আবারও ফারিয়ার জ্ঞান ফেরে, তবে এবার সে হতবাক তার সামনে ফারহান, তার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগানোর চেষ্টায়… ফারহান কে পেয়ে ফারিহা তাঁকে জড়িয়ে ধরে, বলে “আমাকে ছেড়ে কোথায় ছিলে? তুমি ঠিক আছ তো” ফারহান বলে “আমি ঠিক আছি ফারিহা”, তবে অল্প কিছু আঘাত লেগেছে, তোমাকে খুজতে খুজতে এখানে এসে দেখি তুমি এই অবস্থায়, ফারহান ফারিহাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে বলতে থাকে“ ভালবাসা কারে কয় জানো? তাহলে শোন বলছি” মনের টানে তোমাকে খুজে পেয়েছি, বিশ্বাস ছিল তোমাকে জীবিত দেখব, কারন আমার সবকিছুতেই তুমি আছ আমার হৃদয় জুড়ে, নিঃশ্বাসেও তুমি, বিশ্বাসেও তুমি।
আর এটাই হচ্ছে ভালবাসার শক্তি আর এই শক্তির বলেই কিন্তু আজ তোমাকে আমি বাঁচাতে পেরেছি , ফারিহা একটু সাহস পায়, ফারিহা দেখে, ফারহান তার জন্য জঙ্গল থেকে ডাব, আপেল ও কলা, গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে এসেছে,
লেখক : মোহাম্মদ সোহেল রানা