আব্রাহাম তাঁকে এই অবস্থায় রেখে চলে যায়, সপ্তাহে একবার সে আসে বিপাশার ও অন্যান্য মেয়েদের সাথে দেখা করতে, বিপাশার চোখ বেয়ে শুধুই অশ্রু ঝরে, কাঁচের জার থেকে বিপাশাকে বিশেষ পদ্ধতিতে আব্রাহাম বের করে আবার তার সাথে কিছু সময় কাটিয়ে আবারও জারে বন্দি করে রাখে, এই সময় টা সে বিপাশাকে চেয়ারে বসায়, তারপর বিছানায় তার শোবার ঘরে পাশে সুঁইয়ে রাখে , অপলক দৃষ্টিতে বিপাশা চেয়ে থাকে , সে সব বুঝতে পারে, সে অনুভব করতে পারে কিন্তু পুতুলের মতো তার কিছুই করার ক্ষমতা নাই ,কাঁচের জারে বন্দি করার সময় এবার বিপাশার অক্সিজেন নল টা ভুল বসত আব্রাহাম পরিয়ে দেয় নাই , ফলে কিছু পরই বিপাশা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, আব্রাহাম কাঁচের জার বন্ধ করে দিয়ে পাঁচ মিনিট পর তার মনে হয় , নল লাগানো হয় নাই , আব্রাহাম দৌড়ে আসে, কিন্তু ততক্ষণে বিপাশা মারা গেছে , আব্রাহাম চিৎকার করে কাঁদে , শেষ পর্যন্ত তাঁকে জার থেকে বের করে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে বোটে করে নিয়ে যায় মাঝ সমুদ্রে , আর বিপাশার মরদেহটা ফেলে চলে আসে হাঙ্গরের বিচরণের ক্ষেত্রে, বিপাশাকে সমুদ্রে ফেলার সাথে সাথেই দুই চারটা হাঙ্গর তার দেহটাকে ছিরে খেয়ে ফেলল। আব্রাহাম চলে আসে সেই দৃশ্য দেখার পরপরই
কিছুদিন পর পত্রিকায় বিপাশার নিখোঁজ হবার খবর প্রকাশ হল, কিন্তু তার কোনই হদিস কেও পেল না, পুলিস আব্রাহামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, কিন্তু কোন কিছুই কেও বুঝতে পারে না