শরীয়তপুর জেলার বড়ই তলা গ্রাম , ঢাকা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, গ্রামের স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী মোল্লা বাড়ির পাশেই এক বাড়িতে অবস্থান করেছেন ১৪০ বছর বয়সী বৃদ্ধা , নাম অজুফা , ৬ ছেলে ১ মেয়েকে নিয়ে রুগ্ন শরীর নিয়ে বেচে আছেন এখনো , গ্রামের সরু এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে খুব সাবধানে পার হলাম , অবশেষে দুর্বল ও নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে পৌঁছে গেলাম তাঁদের বাড়িতে । ১৪০ বছর বয়সী বৃদ্ধা অজুফা তার এই লম্বা জীবনে দেখেছেন অনেক কিছুই , ব্রিটিশ আমল থেকে আজ পর্যন্ত ঘটে গেছে অনেক কিছু । তবে বার্ধক্য জনিত কারনে আগের সেই কথা গুলো তেমন কিছুই মনে করতে পারেন না , ছেলের বউ আর নাতি নাতনীদের সেবায় এখন তিনি বেশ ভালই আছেন , তবে বার্ধক্য জনিত কারনে চোখে দেখতে ও কানে শুনতে পারেন না , বয়সের ভারে কাহিল হয়ে যাওয়া বৃদ্ধা অজুফা এখন অপেক্ষা করছে মৃত্যুর জন্য । শুধু তাই নয় , কথা হল তার এক সন্তানের সাথে যার বয়সও আনুমানিক শতবছরের কাছাকাছি হবে, নাম আইয়ুব আলী হাওলাদার , কথা বলে জানা গেল অর্থ কষ্টে আছেন এই পরিবারটি , তবে নিজেকে এভাবে এখনো ফিট রাখার পেছনে কারন গুলো জানার জন্য জিজ্ঞেস করতেই বললেন , গ্রামের তাজা শাকসবজি , খাঁটি খাবার ও কায়িক পরিশ্রম এর কথা । বাহিরের খাবার এক রকম পরিহার করেন
মোহাম্মদ সোহেল রানা
এই প্রতিবেদনটি দেখে সত্যিই বিস্মিত ও অবাক হলাম। মা ও পুত্রের ১০০ ও ১৪০ বৎসর ধরে তারা যে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন তা আজকের দিনে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়। ওনাদের কথা শুনে ভীষনই অনুপ্রাণিত হলাম। ঈশ্বরের কাছে ওনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি।🙏🏿🤔
আগামী দিনে এ ধরনের নূতন কোন উদ্যোগ আরো দেখতে পাবো এই আশা রেখে শেষ করলাম।
আপনার মূল্যবান কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ