কোর্ট ম্যারেজে হুশিঁয়ার নয়তো কাঁদবেন সারাজীবন

0
241

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন আইনগতভাবে কোর্ট ম্যারেজ বলে কিছু নেই।অনেক উঠতি বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা পরিবারের অমতে কোর্টে গিয়ে কিছু কাগজপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ভাবেন আইনগতভাবে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা এখন স্বামী-স্ত্রী এবং একসাথে বসবাস করতে পারবে।যুবক-যুবতি বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে, তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই।
এই রুপ কোন বিয়ে যদি কাজী অফিসে রেজিষ্ট্রী না করা হয় তাহলে আইনগত কোন ভিত্তি থাকবেনা। কোন এক সময় যদি এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার পাবেনা।

তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র। আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে।আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক তরুণ তরুণীর ভুল ধারণা হয় যে, শুধুমাত্র এফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন শক্ত হয়। কাজী অফিসে বিয়ের জন্য বিরাট অঙ্কের ফিস দিতে হয় বলে কোর্ট ম্যারেজকে অধিকতর ভাল মনে করে তারা।
তাই সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ, আসুন কাজীর মাধ্যমে বিবাহ নিবন্ধন করি, নিরাপদ থাকি।

পরামর্শ

১) খুব আপনজন / আস্থাভাজন ছাড়া ঋণ চুক্তিতে কখনও গ্যারান্টর হবেন না।

২) বাল্যবিবাহে কখনও স্বাক্ষী হবেন না।

৩) মিথ্যা মামলায় স্বাক্ষী হবেন না।

৪) জাল দলিলে স্বাক্ষী হবেন না।

৫) কোন কোম্পানিতে চাকরির জন্য ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প এ কঠিন কঠিন শর্তে চুক্তি করবেন না।

৬) সামর্থ্যের বেশি দেনমোহর নিজের বিয়েতে নির্ধারণ করবেন না। অন্যকে ও নিরুৎসাহিত করবেন।

৭) নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোবাইল সীম মা বাবা এমনজন ছাড়া অন্যকে ব্যবহার করতে দিবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here