কিছু শর্ত সাপেক্ষে পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলের অনুমতি পেল। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
কিন্তু এই ৬ কিমি পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বাইক গুলোতো আর উড়ে উড়ে আসবে না ! তাদের নির্দিষ্ট হাইওয়ে রাস্তা পাড়ি দিয়েই আসতে হবে। তাই শর্তগুলো সম্পূর্ণ মাওয়া হাইওয়ে এক্সপ্রেস এর জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
গুটি কয়েক অসভ্য বাইকারদের জন্য শত শত বাইকারেরা আজ ভুক্তভোগী । আর কারা এই অসভ্য বাইকার তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা না চিনলেও একটা মাসুম বাচ্চাও এদের দেখে চিনতে পারে ।
চিনে নেই কারা এই বখাটে উশৃংখল বাইকার,,??
এরা সাধারণত প্রভাবশালী পরিবারের আদরের ধনীর দুলাল হয়ে থাকে ,। নিজের শরীরের চাইতে বড় ও দামী বাইক নিয়ে চলাচল করে।
রবিউল মার্কা বডিতে কালো লেদার জ্যাকেট ‘পারফেক্টো’, নীল ডেনিম, ইঞ্জিনিয়ার বুট আর ক্যানভাস ক্যামেরা যুক্ত হেলমেট ব্যবহার করে । অ্যাকসেসরিজ হিসেবে বাইকার গ্লভস, গথিক স্টাইলের চেইন, ব্রেসলেট, রিং, অ্যাভিয়েটর সানগ্লাস পরে।
এদের বাইক চালানো দেখলেই মনে হবে রাস্তাটা যেন তার বাবার।
হরহামেশাই এদের বাইকের ধাক্কায় নিরীহ পথচারীরা আহত বা নিহত হয় ।
এদের কাছে এটা কোন ব্যাপারই না, এখানে কিছু টাকার বিনিময়ে একটা জীবনের মূল্য নির্ধারণ হয়ে যায় । আর দুঃখজনক হলো বেশিরভাগ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হতদরিদ্র হয়, তাই এদের পিছনে কোন খুঁটির জোর থাকেনা । আর ক্ষতিপূরণের যে টাকা দেয় তা আবার কয়েকটি ক্ষেত্রে ভাগ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি সামান্যই কিছু পায় । এভাবে খুব সহজেই রফা দফা করা যায় বলেই দিনকে দিন এধরনের বাইকারদের উৎপাত বেড়েই চলছে।
তবে অনেক সময় দুর্ঘটনায় এই বাইকারদেরও প্রাণহানি ঘটে।
মোট কথা, কোন দুর্ঘটনায় বাইকার হউক কিংবা পথচারী হউক কোন প্রাণহানিই কারো কাম্য নয় । একটা দুর্ঘটনা একটা পরিবারকে শোকের সাগরে নিমজ্জিত করে।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো এ ধরনের বাইকারদের চিহ্নিত করে তাদের সতর্ক করার ব্যবস্থা নিন আর হেলমেটে ক্যামেরা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হউক কারন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে হিরো হিসেবে দেখানোর জন্য এই ধরনের বাইক রেসের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে উচ্চ গতিতে বাইক চালায় ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় ঘটে ।
মনে রাখবেন একটি দুর্ঘটনা, সারা জীবনের কান্না।।
রিপোর্ট : আহমেদ রাসেল