আমাদের বাংলাদেশের প্রায় আশি শতাংশ নারী শরীরে লৌহ জাতীয় খাদ্য উপাদানের ঘাটতিতে ভোগেন এবং বিষয়টাকে একেবারেই পাত্তা দেন না।পরিবারের মেয়ে সদস্যদের সামান্য মাথা ঘোরা,মাথা ব্যথাসহ আরও নানান ধরনের উপসর্গকে নিতান্তই অবহেলা করে এড়িয়ে যেতে যেতে, অন্য সদস্যরা বলে উঠে আরে এই সব প্যানপ্যানানি থামাও, একটা প্যারাসিটামল খাও,সব ঠিক হয়ে যাবে।
আবার অনেক মেয়ে বা নারী আছেন তারা নিজেরাই নিজেদের শরীরের আয়রনের ঘাটতিকে পাত্তা দেন না। জেনেও না জানার ভান করে স্বাভাবিক থাকেন। খুব বড় কোন সমস্যা না দেখা পর্যন্ত কাউকে কিছুই বুঝতে দেন না।
এটা একেবারেই ঠিক না। নিজেকে সুস্থ এবং ফিট রাখার জন্য রোজকার খাদ্য তালিকায় প্রতিটি নারীর উচিত লৌহ জাতীয় খাদ্য উপাদান সমৃদ্ধ খাবার রাখা। যেমন কচু,কচু শাক,মুখি,লতি,কাঁচা কলা,লাল শাক, পালং শাক, কলিজা,ডিম,আনার,আপেল,আম,জাম এই জাতীয় খাবার বা অন্য যে কোন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
আপনার পরিবারের কিশোরী মেয়েটির রোজকার খাদ্য তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। আসলে কিশোরী,তরুণী বা মধ্য বয়সী নারী সকলেরই উচিত এই অভ্যাসটাকে ধরে রাখা।
পরিবারের পুরুষ সদস্যরা সম্ভব হলে চেষ্টা করুন রোজ জোর করে হলেও আপনার পরিবারের নারী সদস্যটিকে যে কোন একটি লৌহ সমৃদ্ধ একটি খাবার হাতে তুলে দিয়ে যত্ন এবং আদর করে খাইয়ে দিন।
দেখবেন ভালোবাসা এবং সুস্থ থাকা একসাথে হবে।
(আজমেরী সুলতানা উর্মি)