আব্রাহাম এবার বলল, তোমাকে আমি বলেছিলাম না, কাঁচের জিনিসের প্রতি আমি অনেক দুর্বল, দেখ আমি কিভাবে সাজিয়ে রেখেছি, বিপাশা একটু পর যা দেখল সেটা সে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলনা, তার মাথা ঘুরাচ্ছে, বিপাশা দেখল স্বচ্ছ কাঁচের ভেতর আধুনিকা মেয়ে সাজানো, প্রায় সাত থেকে আটটি বড় বড় কাঁচের পাত্রে তারা পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছে, আর প্রতিটি মেয়ের হাতে একটি করে গোলাপ ফুল ধরা, আব্রাহাম বলল “তারা মৃত না, তারা জীবিত, তারা সব বুঝবে, দেখবে কিন্তু কিছুই করতে পারবে না, তাদের আমি বিশেষ ফমুলায় বাঁচিয়ে রেখেছি এই কাঁচের পাত্র গুলোর ভেতর, আমি যাদের ভালবাসি শুধু তাদেরকেই এই কাঁচের পাত্রে রেখে দেই, যেমনটা ভালবেসেছি তোমাকে, তাদের যৌবন কখন শেষ হবে না এখানে, এখান থেকে ফিরে যাবার রাস্তা নেই, আমি ছাড়া তাদের কাঁচের জার থেকে বের করলে সাথে সাথেই মারা যাবে, আমি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের বের করি, তাদের ভালবাসি, তাদের নরম বিছানায় নিয়ে আমি আমার সব ভালবাসা তাদের দেই আর সেই ভালবাসা শেষ হলে আবার তাদের কাঁচের ভেতর রেখে দেই আর কেও মারা গেলে তাদের দেহটিকে আমি মাঝ সমুদ্রে ফেলে দিয়ে আসি, যেখানে হাঙরের বসবাস”,
বিপাশা ইতিমধ্যে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেছে, তার ফেরার পথ নাই, বিপাশা বুঝে গেছে সে বড় ভয়ানক বিপদের মধ্যে আটকে গেছে, আব্রাহামের বাসার সেই স্বচ্ছ জারের কথা একে একে মনে পরল তার, কেন সে বলেছিল, এটাও বুঝতে পারল, বিপাশা বলল
“আব্রাহাম তুমি মানুসিক রুগি, তুমি ট্যবো, তুমি ভয়ঙ্কর খুনি,” আব্রাহাম বলে “আমি ছোট বেলা থেকে ঘৃণার স্বীকার, ভালবাসা না পেতে পেতে আমি এরকম হয়ে গেছি, আমাকে এখন সবাই ভালবাসে কারন আমার পজিসন রয়েছে, আমার পজিশনকে সবাই ভালবাসে, আমাকে না, তুমিও আমাকে ভালবাসতে না, যদি আমি বেকার থাকতাম, আর আমি আমার প্রতিশোধ এভাবেই নেব” , বিপাশা এক ঝাটকা দিয়ে সে আব্রাহামকে দূরে ফেলে দেয়, বিপাশা পালাচ্ছে, কিন্তু বিপাশা টের পেল বিপাশা আর পারছে না, কারন বাংলোতে গিয়েই আব্রাহাম তাঁকে একধরনের পানিও খেতে দেয়, যার ফলে বিপাশা কিছুদুর যেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে,
লেখক: মোহাম্মদ সোহেল রানা