জীবনের প্রথম চাকরি অফিস সহকারী পদে ২০১২ সালে। তারপর একই বছর বিনা বেতনে কুমিল্লার স্থানীয় একটি পত্রিকায় ও ঢাকার একটি পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি পদে কাজ করেছেন । ২০১৩ সালে ১ হাজার টাকা বেতনে দৈনিক শিরোনাম পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার পদে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকতা শেখা শুরু। বিল্লাল হোসেন রাজুর হাতে খড়ি হয় এক সময়ের তুখোড় রিপোর্টার দৈনিক সংবাদ ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সাবেক চীফ রিপোর্টার ও দৈনিক শিরোনামের সম্পাদক শ্রদ্ধেয় নীতিশ সাহা দাদার কাছে। পাশাপাশি ২০১৫ সালে কথিকা পাঠক হিসেবে যুক্ত হন কুমিল্লা বেতারে। এরপর কুমিল্লার জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক কুমিল্লার কাগজে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন । তারপর রাইজিং বিডি, বি-বার্তা এবং যমুনা টেলিভিশনে নাগরিক সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন ।
বিল্লাল হোসেন রাজু
একটা সময় বিল্লাল হোসেন রাজুর টেলিভিশন সাংবাদিকতা বা ভিজুয়াল মাধ্যমে প্রতি চরম আকর্ষণ তৈরি হয়। আগ্রহ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যান । প্রথমে ব্রডকাস্ট জার্নালিজম এবং পরে টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিষয়ে পরপর দুইটি মাস্টার্স সমাপ্ত করেন । তারপর নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকিং বিষয়ে শর্ট কোর্স করার সুযোগ হয়েছে।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করেছেন ভিজুয়াল প্রোডাকশন হাউজ সিনে টাউন মিডিয়া হাউজের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ও ভিডিও এডিটর পদে, অনলাইন স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকা মেডি ভয়েসের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রেজেন্টার পদে, চ্যানেল আই পজিটিভ থিংকের রিপোর্টার এন্ড প্রেজেন্টার পদে, অনলাইন পত্রিকা ঢাকা মেইলের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট পদে ও চ্যারিটি অরগানাইজেশন চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের হেড অফ মিডিয়া সেল পদে।
২০১৩ সালে ১ হাজার টাকা বেতনের চাকরি শুরু করে ২০২৩ সালে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি করছেন ৷ সব শেষে প্রায় লক্ষাধিক টাকা বেতনের জবের অফার পেয়েছেন । কিন্ত শৈশবে যে মাছ, দুধ ও শীতকালীন সবজির ব্যবসা কিংবা মাহফিল ও স্কুলে বুট-বাদাম ও আলুর দমের দোকান দিয়ে ব্যবসায়ী খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন , শৈশবের এমন সব স্মৃতি সব সময় তাড়িত করে উনাকে । বিগত এক যুগের বেশি সময়ের কর্মজীবনে সব সময় নিজে কিছু করার সুযোগ খুজেছেন । সেই চিন্তা থেকে চাকুরী ও পড়াশোনার পাশাপাশি ২০২০ সালের একটা আইডিয়া নিয়ে শুরু করেছিলেন BHR Multimedia & Solutions
বলে রাখা ভালো, বিল্লাল হোসেন রাজুর জন্ম কৃষি ও ব্যবসায়ী পরিবারে। বাবা একজন সফল কৃষক ও ব্যবসায়ী। গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ এ সবই ছিলো। বিল্লাল হোসেন রাজুর বাবা ৮-১০ টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন। দুই জোড়া হালের গরু ছিলো। প্রতিবছর তাঁদের দুইশো – আড়াইশো মন ধান উৎপাদন হতো।
যাইহোক, প্রযুক্তি এই চরম উৎকর্ষ্যের যুগে ভিডিও মার্কেটিং কিংবা ভিডিও প্রোমোশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তাদের কাছে এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ভিজুয়াল মাধ্যমের প্রতি ভালোবাসা কিংবা নিজে উদ্যোক্তা হয়ে বহু উদ্যোক্তা, স্বপ্নবাজ ব্যক্ত, সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়াতে ২০২০ সাল থেকে একটু একটু করে ডেভেলপ করেছেন বিএইচআর মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড সলিউশনস।
গত তিন বছরে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান সহ জাতীয় পর্যায়ের শতাধিক প্রজেক্টের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। ২০২৪ সাল কে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন । তিনি পৌঁছতে চান বহু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের কাছে। হতে চান তাদের স্বপ্নের সারথী।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে বেশ কয়েকটি নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বিল্লাল হোসেন রাজুর । উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে সমতট টিভি। তবে সবকিছুর ভেতরেও তার সবচেয়ে প্রিয় কাজ রিপোর্টিং, উপস্থাপনা ও ফিল্ম মেকিং ।
পরিশেষে “দ্যা সেইলর ম্যগাজিনকে” কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান যে , যতটুকু তিনি আজ পর্যন্ত জীবন যুদ্ধে এগিয়েছেন , সেইজন্য বহু মানুষের কাছে তিনি আজন্ম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে যাচ্ছেন । বাবা -মা ও পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিত্ব সহ অসংখ্য মানুষের কাছে গোটা জীবনের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বিল্লাল হোসেন রাজু । আর পরিশেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে তিনি লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
প্রতিবেদন : মোহাম্মদ সোহেল রানা
দ্যা সেইলর ম্যগাজিন ইউ এস